মুনমুন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, তার ছোটবেলার অভিজ্ঞতা এবং সিনেমায় আসার গল্প শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, ছোটবেলায় সহপাঠীদের কাছ থেকে বুলিংয়ের শিকার ছিলেন, বিশেষ করে তার ওজন ও নাচ-গান নিয়ে তির্যক মন্তব্য শুনতেন। এসব কথা তাকে বেশ কষ্ট দিত, তবে একসময় তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি কিছু করবেন এবং বন্ধুদের জবাব দেবেন। সেই সময় থেকেই তার নায়িকা হওয়ার ইচ্ছা জেগে ওঠে, যদিও তার বন্ধুদের কাছে এই ইচ্ছাটি হাস্যকর মনে হয়েছিল।
মুনমুন পরিবারের সংস্কৃতিমনা পরিবেশে বেড়ে ওঠেন, যেখানে সিনেমা, গান ও নাচের প্রতি ভালোবাসা ছিল। তিনি জানতেন যে নায়িকা হওয়া সহজ নয়, তবে তার দৃঢ় মনোভাব তাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। একদিন, তার গানের শিক্ষক সারা দিয়ে পরিচালক এহতেশামের সঙ্গে তার যোগাযোগ করান। প্রথম সাক্ষাতে এহতেশাম তাকে পছন্দ করেন এবং নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব দেন, যা মুনমুনের জন্য ছিল অপ্রত্যাশিত।
মুনমুন জানালেন, এরপর তিনি নিয়মিত নাচ, গান এবং অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। এহতেশাম তাকে ওজন কমানোর পরামর্শ দেন, এবং তিনি প্রায় ১৮ পাউন্ড ওজন কমান। শাবনূরের পাশে দ্বিতীয় নায়িকা হিসেবে শুরু করেন সিনেমা, কিন্তু শীঘ্রই তার কাজগুলো জনপ্রিয়তা পায় এবং মুনমুনকে নিয়ে বেশ কিছু সিনেমা নির্মিত হয়।
তবে মুনমুন প্রধানত অ্যাকশন সিনেমাগুলোর অংশ হয়ে যান, যেখানে তাকে মারামারি ও ফাইট দৃশ্যে দেখা যেত। যদিও তিনি রোমান্টিক সিনেমার জন্য আগ্রহী ছিলেন, তবুও তার পরিশ্রম ও দক্ষতার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। অনেক কঠিন শুটিংয়ের সময়, মুনমুন বহুবার আঘাত পেয়েছিলেন, এমনকি তার দাঁতও ভেঙে গিয়েছিল। তবে, তিনি বলেন, তার মতো পরিশ্রমী কোনো অভিনেত্রী আর কেউ হতে পারেননি।
মুনমুনের ইন্ডাস্ট্রির প্রতি এই কঠোর পরিশ্রম এবং তার সমালোচনার পরেও সিনেমায় দীর্ঘ পথ চলা সত্যিই প্রশংসনীয়।